বর্তমান যুগ স্মার্টফোনের হলেও, অনেকের কাছে এখনো বাটন মোবাইল এক অপরিহার্য প্রযুক্তি। যাদের মূল প্রয়োজন ফোন করা, মেসেজ পাঠানো বা ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী রাখা — তাদের কাছে এই ফোনই হলো সবচেয়ে উপযোগী। আর এ কারণেই অনেকেই আজও আগ্রহভরে জানতে চান বাটন মোবাইল এর দাম কেমন, এবং কোন ব্র্যান্ডের কোন মডেলটি বেশি কার্যকর।

বাটন মোবাইল সাধারণত খুবই সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। বাজারে নকিয়া, সিম্ফনি, ওয়ালটন, আইটেল, টেকনো প্রভৃতি ব্র্যান্ডের বাটন মোবাইল পাওয়া যায় ৯০০ টাকা থেকে শুরু করে ২,৫০০ টাকার মধ্যেই। এর মধ্যে নকিয়া ১০৫, আইটেল it5027 বা ওয়ালটন Olvio সিরিজের কিছু মডেল বেশ জনপ্রিয়। এসব ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকে দীর্ঘস্থায়ী, থাকে টর্চলাইট, FM রেডিও, ডুয়াল সিম সুবিধা এবং কখনো কখনো ব্লুটুথ কিংবা মেমোরি কা র্ড সাপোর্টও।

গ্রামের মানুষেরা বা বয়স্ক ব্যবহারকারীরা এই ফোনগুলো বেশি ব্যবহার করে থাকেন। তাদের কাছে বাটন মোবাইল সহজলভ্য, ঝামেলামুক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় খুবই উপযোগী। যাদের হাতে ফোন বারবার পড়ে যায় বা যারা বেশি ব্যবহার করেন না, তাদের জন্য এই ফোন নিঃসন্দেহে উপযুক্ত পছন্দ।

বর্তমানে বাজারে কিছু বাটন ফোন এমনও রয়েছে, যেগুলোতে 4G সংযোগ, WhatsApp বা Facebook Lite চালানোর সীমিত সুবিধাও থাকে। তবে এমন ফিচারফোনের দাম কিছুটা বেশি হতে পারে — প্রায় ৩,০০০ টাকার কাছাকাছি। তবুও সেগুলো এখনো তুলনামূলকভাবে কমদামি এবং নির্ভরযোগ্য।

অনলাইনে যেমন Daraz, Pickaboo বা local mobile shop গুলোতে বিভিন্ন অফার ও ডিসকাউন্টের মাধ্যমে বাটন মোবাইল আরও সহজে সংগ্রহ করা যায়। যারা জরুরি প্রয়োজনে একটি ব্যাকআপ ফোন রাখতে চান বা শুধু কল ও মেসেজের জন্য নির্ভরযোগ্য ফোন চান, তাদের জন্য বাটন ফোনই হতে পারে সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত।

সব মিলিয়ে, বাটন মোবাইলের দাম কম হলেও এর কার্যকারিতা এবং নির্ভরযোগ্যতা একে করে তোলে এখনো প্রাসঙ্গিক এবং প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র।